চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)। চা পান, নাস্তা ও দুপুরে খিচুড়ী খাওয়ার
অন্তরালে ঢেকে আছে ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার আদায়ের কেন্দ্রস্থলটি। ১৯৯৬ সালে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার
মান, নাগরিক জীবনে সত্যিকারের নেতৃত্ব প্রদান ও অধিকার সম্পর্কে মতামত
প্রকাশের জন্য গণতাণ্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠিত হয়েছিল চাকসু। সকলের সমান অধিকার
সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ ভোটাধিকারের মাধ্যমে একটি কার্যকরী কমিটি
নির্বাচিত করে ছাত্রছাত্রীরা। এই কার্যকরী কমিটি শিক্ষার্থীদের মৌলিক
অধিকার আদায়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সিনেট বৈঠকে মিলিত হয়ে
দাবিগুলো বাস্তবায়িত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান, শিল্প সাহিত্যের
বিকাশ, সার্বজনীন মতামত প্রকাশ ও বোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বাস্তবিক জীবনে
বোঝাপড়া, একতা ও আস্থা গঠনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে
প্রতিবাদ করে অর্থনীতি, রাজনীতি ও জ্ঞান চর্চায় সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্যই
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের প্রতিষ্ঠা। অধ্যাদেশ অনুযায়ী চকসু’র কার্যাবলীর
মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের জন্য কমনরুম, ইনডোর গেমস ও পত্র-পত্রিকা পাঠের
ব্যবস্থা, জার্নাল সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা প্রকাশ, বিতর্কের আয়োজন করা,
বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা এবং বিভিন্ন সামাজিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। এ ছাড়া হল সংসদ গুলোতেও চকসু উপরোক্ত কাজ গুলো
সম্পাদন করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য; বংলাদেশ এবং
বর্হিবিশ্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সহযোগী কলেজ এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের মধ্যকার পারস্পরিক সৌহার্দ্যের কেন্দ্রস্থল ‘চাকসু’ দীর্ঘ
একুশ বছর যাবত বন্ধ। যার ফলে শিক্ষার আলো অন্ধকারে ঢেকে গেছে। বাস্তবায়িত
হচ্ছে শিক্ষা বানিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, হল গুলোতে দখল দারিত্ব। হ্রাস
পাচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান, নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু
পরিবেশ, বন্ধ হয়ে আছে সকল সহ শিক্ষা কার্যক্রম। অথচ শিক্ষার্থীরাই ১৯৪৭ সলে
দেশ ভাগের পর পূর্ব বাংলার জনসাধারণের শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক
অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৬২
সালে শিক্ষা আন্দোলনের ফলে যে জাতীয়তাবাদী চেতনা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা
লাভকে বিকশিত করেছে তাতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
স্বাধীনতার পর ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারি সামরিক সরকারকে উৎখাতকরে গণতন্ত্রকে
পুণরুদ্ধার করেছিল ছাত্ররাই। শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, দেশ ও
জাতির অমূল্য সম্পদ। শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে
জনগণকে সেবা প্রদানের জন্য কর্মে নিয়োজিত হয়।
শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্যকরে তোলার জন্য ছাত্রসংসদ প্রধান সহায়ক, অথচ অচলাবস্থা সকল সুফল বয়ে আনার পথে বাধা হয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করছে ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্রে সেই জ্ঞানের অবদান খুবই সীমিত। ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসর হচ্ছে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, জড়তা এবং সাম্প্রদায়িকতার পথে। প্রকৃতির অপরূপ রূপে শোভিত এই মনোরম ক্যাম্পাসে জ্ঞান অর্জন সত্যিই সৌভাগ্যের কিন্তু ছাত্রসংসদ নির্বাচন নির্মম বেদনার। এ কথা স্পষ্ট যে, নিয়ম তান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন চকসুর অভাবে অধিকারের কথা বলা ও আদায় করা থেকে আমরা আজ বঞ্চিত হচ্ছি। মেনে নিতে হচ্ছে নানা অন্যায়কে। যেখানে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, তৃতীয় শ্রেণী, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারি সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে হয় না শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ বলে পরিচিত ‘চাকসু’ নির্বাচন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাগত গণতাণ্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চাকসু’র সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সাথে ছাত্রসংগঠনের বা রাজনৈতিক দলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। কারণ চাকসু সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের, কোন রাজনৈতিক দলের নয়।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি শুধু সার্টিফিকেটের জন্যে এসেছি? দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এসে যদি আমরা আমদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হই তবে আমাদের এই শিক্ষার মূল্য কি থাকল? এই প্রশ্ন গুলো একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। অতি সু কৌশলে আমাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে আমাদের শিক্ষার ও সুনাগরিক হিসাবে গড়েওঠার অধিকার। এই শিক্ষাকি পেরেছে আমাদের আলোকিত করতে? এইভাবে শিক্ষিত হয়ে কি দিতে পারছি আমাদের দেশ কে? এই অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোর দিকে টেনে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু আমরা কি পারব সমাজের এই অন্ধকার দূর করতে? হ্যাঁ অবশ্যই, এখনি সময়। গণতাণ্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের কাছ থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমাদের নাগরিক ও শিক্ষার অধিকার আদায় করতে চকসু সচল করা অতি জরুরী। গণতন্ত্র বিকশিত করার এই অচল পীঠস্থানকে সচল করতে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
একুশ বছর ধরে চাকসু নির্বাচন হয় না, আর আমরাও সোচ্চার হইনি। কারণ এ গুলো রাজনৈতিক ব্যাপার। কিন্তু রাজনীবিদেরা তো আমাদের অধিকার ও মতামত এখনও বাস্তবায়িত করতে পারেনি। মারামারি করেছে ছাত্রলীগ ও শিবির কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন দেড়মাস ক্লাসে অংশগ্রহণ হতে বঞ্চিত হল? ছাত্রসংসদ যদি সচল থাকতো তাহলে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বেতন ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহার করার জন্য আন্দোলন করার প্রয়োজন হত না। চাকসু একক কোন ব্যক্তির নয়। সকলের সমান অধিকার আদায়ের জন্য সকলকেই দলমত নির্বিশেষে মতামত প্রকাশ করতে হবে, নতুবা রাজনৈতিক এবং প্রসাশনিক দাসত্বের শৃঙ্খল পড়েই বেঁচে থাকতে হবে।
আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। আপনাকেই আপনার অধিকার আদায় করতে হবে। আপনি যদি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, আপনি যদি মনে করেন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করা প্রয়োজন, আপনি যদি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ তথা চাকসু নির্বাচন প্রয়োজন তাহলে আপনার এই অধিকার আদায়ের জন্য আপনাকেই সংগ্রাম করতে হবে।
শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্যকরে তোলার জন্য ছাত্রসংসদ প্রধান সহায়ক, অথচ অচলাবস্থা সকল সুফল বয়ে আনার পথে বাধা হয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করছে ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্রে সেই জ্ঞানের অবদান খুবই সীমিত। ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসর হচ্ছে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, জড়তা এবং সাম্প্রদায়িকতার পথে। প্রকৃতির অপরূপ রূপে শোভিত এই মনোরম ক্যাম্পাসে জ্ঞান অর্জন সত্যিই সৌভাগ্যের কিন্তু ছাত্রসংসদ নির্বাচন নির্মম বেদনার। এ কথা স্পষ্ট যে, নিয়ম তান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন চকসুর অভাবে অধিকারের কথা বলা ও আদায় করা থেকে আমরা আজ বঞ্চিত হচ্ছি। মেনে নিতে হচ্ছে নানা অন্যায়কে। যেখানে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, তৃতীয় শ্রেণী, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারি সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে হয় না শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ বলে পরিচিত ‘চাকসু’ নির্বাচন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাগত গণতাণ্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চাকসু’র সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সাথে ছাত্রসংগঠনের বা রাজনৈতিক দলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। কারণ চাকসু সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের, কোন রাজনৈতিক দলের নয়।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি শুধু সার্টিফিকেটের জন্যে এসেছি? দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এসে যদি আমরা আমদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হই তবে আমাদের এই শিক্ষার মূল্য কি থাকল? এই প্রশ্ন গুলো একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। অতি সু কৌশলে আমাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে আমাদের শিক্ষার ও সুনাগরিক হিসাবে গড়েওঠার অধিকার। এই শিক্ষাকি পেরেছে আমাদের আলোকিত করতে? এইভাবে শিক্ষিত হয়ে কি দিতে পারছি আমাদের দেশ কে? এই অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোর দিকে টেনে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু আমরা কি পারব সমাজের এই অন্ধকার দূর করতে? হ্যাঁ অবশ্যই, এখনি সময়। গণতাণ্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের কাছ থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমাদের নাগরিক ও শিক্ষার অধিকার আদায় করতে চকসু সচল করা অতি জরুরী। গণতন্ত্র বিকশিত করার এই অচল পীঠস্থানকে সচল করতে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
একুশ বছর ধরে চাকসু নির্বাচন হয় না, আর আমরাও সোচ্চার হইনি। কারণ এ গুলো রাজনৈতিক ব্যাপার। কিন্তু রাজনীবিদেরা তো আমাদের অধিকার ও মতামত এখনও বাস্তবায়িত করতে পারেনি। মারামারি করেছে ছাত্রলীগ ও শিবির কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন দেড়মাস ক্লাসে অংশগ্রহণ হতে বঞ্চিত হল? ছাত্রসংসদ যদি সচল থাকতো তাহলে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বেতন ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহার করার জন্য আন্দোলন করার প্রয়োজন হত না। চাকসু একক কোন ব্যক্তির নয়। সকলের সমান অধিকার আদায়ের জন্য সকলকেই দলমত নির্বিশেষে মতামত প্রকাশ করতে হবে, নতুবা রাজনৈতিক এবং প্রসাশনিক দাসত্বের শৃঙ্খল পড়েই বেঁচে থাকতে হবে।
আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। আপনাকেই আপনার অধিকার আদায় করতে হবে। আপনি যদি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, আপনি যদি মনে করেন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করা প্রয়োজন, আপনি যদি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ তথা চাকসু নির্বাচন প্রয়োজন তাহলে আপনার এই অধিকার আদায়ের জন্য আপনাকেই সংগ্রাম করতে হবে।
No comments:
Post a Comment